গত ৪ নভেম্বর, ২০২৪ ছিল বাঁশরী – একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র’র জন্য বিশেষ একটি দিন। ২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনটি এই দিনে সাফল্যের দশম বর্ষে পদার্পণ করে। বাঁশরীর ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ তাৎপর্যপূর্ণ দিনটি ব্যাপক আনন্দ-উদ্দীপনা ও প্রাণবন্ত আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম প্রচারে নিবেদিত বাঁশরী তার প্রায় এক দশকের কার্যক্রম ও অর্জনকে এর সদস্য, শিল্পী ও অতিথি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে উদযাপন করতে বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন করে।
বাঁশরী দেশের বিভিন্ন মন্দিরে নিয়মিত শ্যামাসংগীতের আসর আয়োজনের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলাম রচিত শ্যামা সংগীতকে সুপরিচিত ও জনপ্রিয় করে এর পরিসর বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় শ্যামাপূজা ও দীপাবলি ২০২৪ উপলক্ষে গত ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরীর মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রাঙ্গণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সম্প্রীতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত শ্যামাসংগীত পরিবেশন করেন বাঁশরীর শিল্পীবৃন্দ। এ আয়োজনের পরিকল্পনায় ছিলেন বাঁশরী - একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র’র প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান।
গত ২ অক্টোবর মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরে মহালয়ায় দুর্গাসংগীত অনুষ্ঠান আয়োজনের পর আবারো ১২ অক্টোবর ২০২৪ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে নবমীর দিনে বাঁশরী – একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র দুর্গা সংগীতের অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
গত ১১ই অক্টোবর ২০২৪ শুক্রবার অষ্টমীতে ঢাকা মহানগরীর বারিধারা পূজা মন্ডপে সন্ধ্যা ৭ টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত দুর্গা সংগীতের আসর অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগীত পরিবেশন করেন বাঁশরীর কণ্ঠশিল্পী ও কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তি শিল্পীগণ।
প্রতিবছর শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাঁশরী – একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র’র আয়োজনে সম্প্রীতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত দুর্গা সংগীত বিভিন্ন মন্দিরে পরিবেশন করে আসছে। এই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ সন্ধ্যা ৭টায় ৭মীতে ঢাকার খামারবাড়ি পূজামণ্ডপ ও রামকৃষ্ণ মিশনে বাঁশরীর শিল্পীবৃন্দ “জয় দুর্গে, জয় দুর্গে”……, “আনন্দ রে আনন্দ”……, “ওরে আয় অশুচি, আয়রে পতিত”……, “মা এসেছে, মা এসেছে, মা এসেছে রে”….,দুর্গাসংগীত পরিবেশন করেন। পাশাপাশি নজরুল রচিত কবিতা আবৃত্তি করেন চন্দ্রিমা দেয়া।
শারদীয় দুর্গোৎসব উৎসব উপলক্ষে বাঁশরী – একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র বরাবরের মত এবারও সম্প্রীতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত দুর্গা সংগীতের আসর আয়োজন করেছে। এবার মহালয়া থেকে শুরু করে মহানবমী পর্যন্ত বাঁশরী ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন মন্দিরে বাঁশরীর শিল্পীগণ নজরুল রচিত দুর্গাসংগীত পরিবেশন করেন।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের শক্তি, আমাদের মুক্তি এই মূলমন্ত্রকে উপজীব্য করে কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাঁশরী- একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে আসছে। এই ধারাবাহিকতায় ৪ ও ৫ অক্টোবর শুক্র ও শনিবার টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে “নজরুল জয়ন্তী ২০২৪” শীর্ষক অনুষ্ঠানে নজরুল রচিত নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাঁশরী - একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র প্রতিবছর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে সম্প্রীতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত দুর্গাসংগীতের আসর আয়োজন করে থাকে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাঁশরী ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন মন্দিরে “শ্রী শ্রী দুর্গাসংগীতের আসর” শিরোনামে কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত দুর্গাসংগীতের অনুষ্ঠান আয়োজন করছে।
বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু) এবং বাঁশরী সম্প্রতি বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ‘বন্ধু মেডিক্যাল টিম’ গঠনের মাধ্যমে কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলায় মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মোট ২০০০ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা ও ঔষধ প্রদান করা হয়েছে।
২৭ আগস্ট ২০২৪ / বাংলা ১২ই ভাদ্র ১৪৩০, মঙ্গলবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবির সমাধিসৌধে বাঁশরী – একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে "জাতীয় কবি" হিসেবে গ্যাজেটভুক্ত করার দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি পালন করে।
বাঁশরী- একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র প্রতিবছর শোকের মাস "মহররম" উপলক্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত মর্সিয়া গান ও কবিতা গানের আয়োজন করে থাকে।
‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের শক্তি, আমাদের মুক্তি’ এই মূলসুরে বাঁশরী – একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র’র আয়োজনে ঢাকা মহানগরীর বেইলি রোডের নাটক সরণিসংলগ্ন মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নজরুলজয়ন্তী উপলক্ষে ১ থেকে ৭ জুন প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হলো সাত দিনব্যাপী ‘বাঁশরী নজরুল নাট্য সমারোহ-২০২৪’ নাট্যোৎসব।
৭ জুন, শুক্রবার, সকাল ১০টায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে “নজরুল নাটকের কথা” শিরোনামে বাঁশরী- একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র’র আয়োজনে একটি সেমিনার আয়োজিত হয়। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ড. রতন সিদ্দিকী। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রথিতযশা নজরুলবোদ্ধা, নাট্য পরিচালক, নাট্যনির্মাতা ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তিগণ এবং আলোচক হিসেবে নজরুলের নাটকের বিভিন্ন দিক নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যবহুল আলোচনা করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আমিনুর রহমান সুলতান এবং সভাপতিত্ব করেন বাঁশরীর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান।
১১ই জ্যৈষ্ঠ শনিবার (২৫শে মে ২০২৪) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাঁশরী-একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র অর্ধদিবসব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে।
বাঁশরী - একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র’র আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে জাকির হোসেন রোড (খেলার মাঠ) এ “বাঁশরী’র নববর্ষ উৎসব” শীর্ষক ২ দিনব্যাপী একটি অনবদ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনের সহযোগিতায় ছিলো বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু)’র ও মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল রেডিও দিন রাত ৯৩.৬।
বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু) ও বাঁশরী – একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র’র উদ্যোগে ৭ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু)’র প্রধান কার্যালয়ে বন্ধু ও বাঁশরীর বার্ষিক ইফতার আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত আবহ এবং যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই ইফতার আয়োজন বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু)’ ও বাঁশরীর জন্য একটি ব্যতিক্রমধর্মী আনন্দমুখর মিলনমেলাও বটে।
শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মঞ্চে, ঢাকায় বাঁশরী রেপার্টরি থিয়েটারের পরিবেশনায় গত ৫ এপ্রিল ২০২৪ কাজী নজরুল ইসলাম অনবদ্য সৃষ্টি “আলেয়া” নাটকের কারিগরি মঞ্চায়ন হয়। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন গোলাম সারোয়ার। নাট্য ভাবনা ও পরিকল্পনায় রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান।
“যত মত তত পথ, শিব জ্ঞানে জীব সেবা” এই মূলসুরে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে চার দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে শ্রীরামকৃষ্ণের ১৮৯তম শুভ জন্মতিথি ও বার্ষিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানমালার অনুষ্ঠানসূচীতে ছিল মঙ্গল আরতি, উষা কীর্তন, বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ, শ্রীরামকৃষ্ণের গ্রন্থ থেকে পাঠ, শ্রীরামকৃষ্ণ সম্পর্কে আলোচনা, ভক্তিমূলক সঙ্গীত, রামকৃষ্ণ লীলাগীতি, শিশুদের নৃত্যানুষ্ঠান।
১৮ ফাল্গুন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ/২ মার্চ ২০২৪ শনিবার এক বসন্তের বিকেলে ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত রবীন্দ্র সরোবরে বাঁশরী – একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র’র আয়োজনে “বাঁশরী’র বসন্ত উৎসব" শীর্ষক একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাঁশরী ও কয়েকটি সাংস্কৃতিক দল অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন আশাপূর্ণা রায় তন্দ্রা ও সজীব গাজী দিপু।
গত ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ বুধবার ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে ভক্ত-দর্শক সমাগম ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় শ্রী শ্রী মা সারদা দেবীর শুভ আবির্ভাব তিথিতে “শ্রী শ্রী মা সারদা দেবীর ১৭১তম শুভ জন্মতিথি উৎসব” শীর্ষক একটি আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি একটি ভারতীয় চলচ্চিত্রে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গান “কারার ঐ লৌহকপাট” এর সুর বিকৃত করা হয়। এই গানের সুর বিকৃত করার প্রতিবাদে বাঁশরীসহ দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও ব্যক্তি বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করেন।
'যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেন সংস্থিতা' স্তোত্রের ধ্বনিতে গত ২২ অক্টোবর ২০২৩ অষ্টমীতে রাত ৯.৩০ টায় শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বারিধারা ডিওএইচএস পূজামন্ডপে বাঁশরী- একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্রপ’র নির্ধারিত সম্প্রীতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত শ্রী শ্রী দুর্গা সংগীতের আসর শুরু হয়। দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাঁশরীর তৃতীয় দিনের এ আয়োজনে বাঁশরীর শিল্পী সুদাম কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে পরেশ পাল, মিলন পোদ্দার, হৃদয় হোসেন, দীপান্তিকা গোলদার, রাজিয়া সুলতানা মিশি, নওশীন অমি, সুমাইয়া অনি, পূরবী রায়, গৌধূলী গোমেজ।
সব্যসাচী সংগীত রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলামের রচিত সংগীত বৈচিত্রময় এবং অভিনবত্বে পরিপূর্ণ। তাঁর সমৃদ্ধ সংগীত ভাণ্ডারে দুর্গা সংগীত একটি অনন্য সংযোজন। তবে প্রচারের অভাবে এগুলো সুপরিচিত নয়। বাঁশরী কবির রচিত স্বল্প পরিচিত এই দুর্গা সংগীত প্রচার ও চর্চার উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে শারদীয় দুর্গোৎসব ১৪৩০ উপলক্ষে গত ২১ অক্টোবর রাজশাহীর রাজশাহী ধর্মসভায় মহাসপ্তমীতে বাঁশরী- একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র’র সহযোগিতায় শ্রী সঙ্গীতালয় ‘দুর্গা সংগীত’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
গত ১৪ ই অক্টোবর ২০২৩ শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় শুভ মহালয়া উপলক্ষে বাঁশরী-একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে সম্প্রীতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত শ্রী শ্রী দুর্গা সংগীতের আসর আয়োজন করে।
বাঁশরী-একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র ২২শে মাঘ রবিবার ১৪২৯/০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বিকাল ০৫.০০ ঘটিকায় ঢাকার কবি নজরুল ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশনের (বন্ধু) সহযোগিতায় “নজরুল চর্চার নানা দিক” শীর্ষক একটি সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে বাঁশরীর প্রযোজনায় এবং সাজ্জাদ সাজুর নির্দেশনায় বাঁশরী রেপার্টরির ব্যানারে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত পালানাটক "বনের মেয়ে পাখী" মঞ্চায়ন করা হয়। ব্যাপক দর্শক সমাগমের মধ্য দিয়ে নাটকটি পরিবেশিত হয়। নাটকটির কাহিনী অনুসারে, রায়গড়ের পাহাড় ও জঙ্গলাকীর্ণ পথে বাঘের আনাগোনা প্রবল। সেই শ্বাপদসংকুল পথে পালকিবাহী বেহাড়া দল বাঘের আক্রমণের শিকার হয়। জানের মায়ায় পালকি ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। আর পালকির অভ্যন্তরে নারী কণ্ঠের আর্তনাদে ছুটে আসে সাপুড়ে ভগুলাল। বাঘের সঙ্গে লড়াই করে সে উদ্ধার করে এক শিশুকন্যাকে। কিন্তু শিশুটির মাকে বাঁচাতে পারে না ভগুলাল। শিশুটিকে আগলে রেখে তার দেখভালের দায়িত্ব নেয় বাঘা ভগুলাল। তার নাম রাখে পাখি, বনের মেয়ে পাখি। ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে সে। সর্পদেবী মনসার কৃপায় পাখি পেয়ে যায় যে কোনো ব্যাধি সারাবার অলৌকিক ক্ষমতা। সেই সঙ্গে তার জীবনে যুক্ত হয় সুজন নামের জীবনসঙ্গী । মনসার বরে প্রাপ্ত ক্ষমতা পাখিকে নিয়ে চলে তার হারানো পরিচয় পুনরুদ্ধারের পথে।
৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে, বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু) এবং বাঁশরী- একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র (বাঁশরী) যৌথভাবে টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলার যাদবপুরে কবি নজরুল পার্কে বার্ষিক পিকনিক-২০২৩ এর আয়োজন করে।
মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম- এর জন্মদিনকে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবি উত্থাপন করে গত ১লা জুন ২০২৩/ ১৮ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরের উন্মুক্ত মঞ্চে বাঁশরী- একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কাজী নজরুল ইসলাম-এর ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে “মানবতার এই মহা-যুগে একবার গণ্ডি কাটিয়া বাহির হইয়া আসিয়া বল যে, তুমি ব্রাহ্মণ নও, শুদ্র নও, হিন্দু নও, মুসলমান নও, তুমি মানুষ- তুমি সত্য” কাজী নজরুল ইসলামের এই মূলমন্ত্রকে উপজীব্য করে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি দিবস উদযাপিত হয়।
বাঁশরী ২০১৬ সাল থেকে “নজরুল আড্ডা” শীর্ষক মাসিক অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে আয়োজন করে। নজরুলের গান, কবিতা, প্রবন্ধ পাঠ, আলোচনা প্রভৃতি কার্যক্রম অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নজরুল আড্ডা একটি নিয়মিত আয়োজন। দেশের বিভিন্ন প্রথিতযশা শিল্পী, আবৃত্তিকার, নজরুল গবেষক, উদীয়মান শিল্পীগণ এই নজরুল আড্ডার আসরে অংশগ্রহণ করেন।
শোকের মহররম উপলক্ষে বাঁশরী ২৬ শে জুলাই ২০২৩ ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত কারবালায় কবি নজরুলের মর্সিয়া সংগীত অবলম্বনে মর্সিয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করে ।
গত ২৫শে মে/ জ্যৈষ্ঠ ১১, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাঁশরী-একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী গ্রহণ করে।
বাঁশরী সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামানের পরিকল্পনায় বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উপলক্ষে সারা বাংলাদেশের বিদ্যালয়গুলোতে বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দ্বারা বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি করা হয়েছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার বাঁশরী রেপার্টরি থিয়েটারের ব্যানারে কাজী নজরুল ইসলাম রচিত "সেতু-বন্ধ" নাটকের প্রথম শো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়। নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন স্বনামধন্য নাট্য ব্যক্তিত্ব গোলাম সরোয়ার। নাটকটি নির্মাণের বিভিন্ন দায়িত্ব ও অভিনয়ে ছিলেন সুপরিচিত ও দক্ষ নাট্য শিল্পীগণ।
নজরুলের উদার ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে বাঁশরী ২০১৬ সালের শুরু থেকে প্রতি অমাবস্যার সন্ধ্যায় ঢাকার বিভিন্ন মন্দিরে নজরুলের “শ্যামাসঙ্গীতের আসর”- এর আয়োজন করে। সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সম্প্রীতির অন্যতম প্রধান একজন অগ্রদূত। নিজে মুসলিম সম্প্রদায়ের হওয়া সত্ত্বেও তিনি হিন্দু সম্প্রদায়েরর শ্যামা সংগীত রচনা করে সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি যেমন ইসলামি সঙ্গীত, হামদ, নাত, গজল রচনা করেছেন, তেমনি ধর্মীয় গোঁড়ামি ও সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার বলয় থেকে মুক্ত থেকে অবলীলায় রচনা করেছেন হিন্দুদের চমৎকার সব শ্যামা সঙ্গীত ও দুর্গা সঙ্গীত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে অমাবস্যার রাতে শ্যামা সঙ্গীতের কয়েকটি আসর নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে সীতাকুণ্ডের ভবানী মন্দিরে প্রতিদিন দুপুরে “মাতৃসঙ্গীতের আসর” অনুষ্ঠিত হয়। শ্রী শ্রী শ্যামা পুজা উপলক্ষ্যে “সম্প্রীতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত শ্যামা সঙ্গীত” শিরোনামে বাড্ডা জাগরণী সংসদ, দক্ষিণ বাড্ডা, ঢাকায় ২৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে রবিবার, সন্ধ্যা ৮.৩০ টায় জাগ্রত সমাজ (জাস) ও বাঁশরী- একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্রের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সিদ্ধার্থ গোলদার, দীপান্তিকা গোলদার, সঙ্গীতা পাল, আশীষ কুমার শীল প্রমুখ।
বাঁশরী গত এক বছরের অধিক সময় হতে নিয়মিত সাপ্তাহিক লাইভ অনুষ্ঠান "ঝিঙেফুল" আয়োজন করে আসছে। ২০২১ সালের ১লা এপ্রিল এ অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং ২০২২ সালের ১লা এপ্রিল ‘ঝিঙে ফুল’ অনুষ্ঠানের এক বছর পূর্ণ হয়। বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ অনলাইন প্লাটফর্মে অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের নিয়ে বাঁশরী ০১ এপ্রিল ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/১৮ই চৈত্র ১৪২৮ তারিখ শুক্রবার, সকাল ৯টায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে "ঝিঙেফুল শিল্পী সম্মেলন" আয়োজন করে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিকল্পনায় ছিলেন- ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি নজরুল ইন্সটিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঁশরীর সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান। সকাল ৯.৩৫ মিনিটে ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ৯.৪০টায় বাচিকশিল্পী টিটো মুন্সীর নেতৃত্বে সম্মিলিত কণ্ঠে ‘বিদ্রোহী কবিতা’ আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯.৫৫ টায় ছিল ঝিঙেফুল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। দুপুর ১২.৩৫টায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কবি নাতনী জনাব খিলখিল কাজী বক্তব্য রাখেন। দুপুর ১২.৪০টায় প্রধান অতিথি গাজীপুর-৫ আসনের মাননীয় এমপি জনাব মেহের আফরোজ চুমকি বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর দুপুর ১২.৫০টায় অনুষ্ঠানের সর্বশেষ বক্তা সভাপতি কবি নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন তার বক্তব্য রাখেন। বাঁশরী শিল্পীদের পরিবেশনায় দুপুর ১২.৫৫টায় দলীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। “ঝিঙে ফুল শিল্পী সম্মেলন-২০২২” এ সারাদেশ থেকে ঝিঙেফুল অনলাইন অনুষ্ঠানের শিল্পী, অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নজরুল-অনুরাগী ও ভক্তগণ অংশগ্রহণ করেন। এ শিল্পী সম্মেলনে ঝিঙে ফুল অনুষ্ঠানের শিল্পী ও আবৃত্তিকারদের সম্মাননা স্মারক ও সনদ প্রদান করা হয়। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ শিল্পী সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
নজরুল স্মৃতি বিজড়িত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে “বাঁশরী- একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র” এর উদ্যোগে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাজী নজরুল ইসলামের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও জীবনদর্শনের সাথে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে শিক্ষা সফর কর্মসূচী গ্রহণ করে। কর্মসূচীগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কবির সমাধি প্রাঙ্গনের দিকে যাত্রা শুরু, কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবির কবিতা ও গান শেখা, বাংলা একাডেমীর “নজরুল কক্ষ” পরিদর্শন, কবি নজরুল ইন্সটিটিউট পরিদর্শন, রমনা পার্ক পরিদর্শন, নজরুলের সমাধি প্রাঙ্গণে প্রত্যাবর্তন ও সমাপনী অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এর অংশ হিসেবে গত ২৭ জানুয়ারী, ২০২০ (১২ই মাঘ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ) একটি বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়। একটি মাইক্রোবাসে করে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে নিয়ে যাওয়া হয় ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়, এরপর নজরুলের সমাধির পাশে শিক্ষার্থীদের নজরুলের কবির কবিতা ও গান শেখানো হয়। বাংলা একাডেমীর “নজরুল কক্ষে” নজরুলের বিভিন্ন বই ও দুর্লভ ছবি ঘুরে ঘুরে দেখানো হয়। এরপর কবি নজরুল ইন্সটিটিউট পরিদর্শন, রমনা পার্ক পরিদর্শন, নজরুলের সমাধি প্রাঙ্গণে প্রত্যাবর্তন ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মসূচী সমাপ্ত করা হয়।
বাঁশরী - একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র'র (ভারত শাখা) ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখ (সুকান্ত মঞ্চ, কোচবিহার ও মধুসূদন মঞ্চ, শিলিগুড়ি) দুই বাংলার শিল্পীদের নিয়ে আয়োজন করে "উত্তরবঙ্গ নজরুল উৎসব-২০২৩"।
২৬ মে ২০২২ তারিখ বৃহস্পতিবার কলকাতার রোটারী সদনে অনুষ্ঠিত হয় বাঁশরী আয়োজিত অনুষ্ঠান "কবি প্রণাম-২০২২"। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এটি ভারতে বাঁশরী আয়োজিত প্রথম একক অনুষ্ঠান। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সকল দায়িত্ব পালন করেন, বাঁশরী পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি বিশিষ্ট নজরুল সংগীতশিল্পী ও গবেষক দীপা দাস। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় মন্ত্রী জনাব সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন (কলকাতা)'র শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী নুপুর ছন্দা ঘোষ এবং বিশিষ্ট কবি ও সম্পাদক (অগ্নিবীণা) শ্রী রবিন মুখোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠানে ১৬০জন শিল্পী অংশগ্রহণ করে একক ও দলীয় সংগীত, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করেন।