02 October 2024
মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরে মহালয়া উপলক্ষে দুর্গাসংগীতের আসর ২০২৪
শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাঁশরী - একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র প্রতিবছর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে সম্প্রীতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত দুর্গাসংগীতের আসর আয়োজন করে থাকে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাঁশরী ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন মন্দিরে “শ্রী শ্রী দুর্গাসংগীতের আসর” শিরোনামে কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত দুর্গাসংগীতের অনুষ্ঠান আয়োজন করছে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত ২রা অক্টোবর ২০২৪ বুধবার মহালয়া উপলক্ষে মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরে সন্ধ্যা ৭টায় যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও সাংস্কৃতিক আবহে বাঁশরী কর্তৃক আয়োজিত দুর্গাসংগীতের আসর অনুষ্ঠিত হয়।
বাঁশরীর শিল্পীগণ প্রথমে নজরুল রচিত আগমনী সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। এরপর সমবেত ও একক কণ্ঠে শিল্পীরা “এলো মা, আমার মা”, “জয় দুর্গে, জয় দুর্গে”, “মা এসেছে, মা এসেছে, মা এসেছে রে”, “আনন্দ রে আনন্দ”, “ওরে আয় অশুচি”, “এলো রে এলো ঐ রণরঙ্গিণী”, “কাল মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন”, “খড়ের প্রতিমা পূজিস রে তোরা, মাকে তো তোরা পূজিস নে”, “চাস নে মা ফিরে, মা ধরি দু’টি রাঙা পায়”, “মায়ের আমার রুপ দেখে যা”, প্রভৃতি মায়ের গান পরিবেশন করেন।
মহালয়ার এ আয়োজনে অংশগ্রহণকারী বাঁশরীর শিল্পীরা হলেন-
১. সুদাম কুমার বিশ্বাস, ২. সিদ্ধার্থ গোলদার, ৩. পরেশ পাল, ৪. রাজিয়া সুলতানা মিশি, ৫. তাপসী রায়, ৬. হৃদয় হোসেন, ৭. গোধূলি গোমেজ, ৮. মিলন পোদ্দার, ৯. দেবশ্রী সাহা, ১০. রেহানা পারভীন হাসি, ১১. সংগীতা পাল, ১২. রুমা হোসেন, ১৩. উম্মে রুমা ট্রফি, ১৪. স্বপন চন্দ্র দাস ।
সংগীত পরিবেশনা শেষে বাঁশরীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. ইঞ্জিয়ার খালেকুজ্জামান সবার সাথে পূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং নজরুল রচিত মায়ের গান মন্দিরে পরিবেশন করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য পূজা অর্চনা কমিটিকে ধন্যবাদ জানান । তিনি আরও বলেন, মন্দির কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করলে মন্দিরে শুধু মাতৃ সংগীত না, ভবিষ্যতে কীর্তনসহ সকল ধরণের সংগীত আয়োজন করতে চায় বাঁশরী। বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশনের (বন্ধু) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. অনিমেষ কুমার সরকার দর্শক-শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বাঁশরীর কার্যক্রমসমূহ তুলে ধরেন।