বাঁশরীর আয়োজনে উদযাপিত হলো নববর্ষ ১৪৩২

15 April 2025

বাঁশরীর আয়োজনে উদযাপিত হলো নববর্ষ ১৪৩২

বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিসত্তার আবহমান কাল ধরে চলে আসা এক ঐতিহ্য। কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গানেও বাংলা নববর্ষের কথা একাধিকবার এসেছে। বাঁশরী – একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র প্রতিবারের ন্যায় এবারও আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনে শামিল হয়েছে।


ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ১৫ এপ্রিল ও বাংলা ২রা বৈশাখ মঙ্গলবার বিকেলে বাঁশরী – একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র বাঁশরীর কার্যালয়ে  “নববর্ষ উদযাপন” শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে এ আয়োজনে উপস্থিত সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে নববর্ষের অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর বাঁশরীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামানকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন বাঁশরীর শিল্পী নাদিয়া আরেফিন শাওন। বাঁশরীর উদ্বোধনী সঙ্গীত জয় হোক জয় হোক গেয়ে এ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাঁশরীর নিয়মিত শিল্পীগণ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাঁশরীর শিল্পী গুলে ফেরদৌস লতা। বেশীর ভাগ শিল্পী একক কণ্ঠে নজরুল সংগীত পরিবেশন করে। শিশুশিল্পী মেহবুব তার সহোদর শিশুশিল্পী মাহিমার নজরুলসংগীত পরিবেশনের সাথে বাদ্যযন্ত্র সারেঙ্গী বাজিয়ে শোনায় এবং নিজেও নজরুলসংগীত গেয়ে শোনায়। বাঁশরীর আবৃত্তিশিল্পী সজীব গাজী ও আশাপূর্ণা রায় তন্দ্রা নজরুলের 'নওরোজ কবিতা আবৃত্তি করেন। এরপর নজরুল রচিত “প্রবর্তকের ঘুর-চাকায়” কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী আসমাউল হুসনা মনিকা। বাঁশরীর আরেকজন শিল্পী উম্মে রুমা ট্রফি “চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না এ নয়ন পানে।” পরিবেশন করেন। শহীদ খান “এলো এলো রে বৈশাখী ঝড় এলো এলো রে” পরিবেশন করেন। তার গানের সাথে তার স্ত্রী মুন্নী নৃত্য পরিবেশন করেন।


নজরুলের “আগমনী” কবিতার অংশবিশেষ আবৃত্তি করে শোনায় শিশুশিল্পী এম এস রিয়ান। কবির রচিত “কবি-রাণী” এবং শিশুতোষ কবিতা “খাঁদু-দাদু” আবৃত্তি করেন কলকাতা থেকে আগত আব্রিত্তিশিল্পী দেবনিষ্ঠা জানা। বাঁশরীর আরেকজন নিয়মিত শিল্পী সংগীতা পাল পরিবেশন করেন “কার মঞ্জির রিনিঝিনি বাজে — চিনি চিনি।” বাঁশরীর অন্যতম শিল্পী নাদিয়া আরেফিন শাওন গেয়ে শোনান “হংস-মিথুন ওগো যাও ক’য়ে যাও।” বাঁশরীর শিল্পী শহীদ কবির পলাশ “পরদেশি বঁধুয়া, এলে কি এতদিনে” গেয়ে শোনান। শিল্পী মুন্নী কাদের “চম্পা পারুল যূথী টগর চামেলা।” পরিবেশন করেন। এরপর আবৃত্তিশিল্পী ফারজানা এলি “সর্বহারা” কবিতা আবৃত্তি করেন।


মনসুর কাদের “স্বপ্নে দেখি, স্বপ্নে দেখি একটি নতুন ঘর, তুমি আমি দুজন প্রিয়” গেয়ে শোনান। রেহানা পারভীন হাসি “চৈতালি চাঁদনী রাতে” পরিবেশন করেন। বাঁশরীর নন্দিত শিল্পী গৌরি নন্দী ও জাবুল ইসলাম অনবদ্য কণ্ঠে “গরজে গম্ভীর গগনে কম্বু।” দ্বৈতকণ্ঠে পরিবেশন করেন।


গৌরি নন্দী “আমারও মনেরও বেদনা” পরিবেশন করে সবাইকে মুগ্ধ করেন। এরপর সমবেত কণ্ঠে শিল্পীদের “আজকে শাদি বাদশাজাদীর” “মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম” পরিবেশনার মধ্য দিয়ে নববর্ষের এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে। ফেসবুক লাইভে এ আয়োজনটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। লাইভটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।