মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশন- এ  শ্যামাসংগীতের আসর অনুষ্ঠিত

01 November 2024

মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশন- এ শ্যামাসংগীতের আসর অনুষ্ঠিত

বাঁশরী দেশের বিভিন্ন মন্দিরে নিয়মিত শ্যামাসংগীতের আসর আয়োজনের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলাম রচিত শ্যামা সংগীতকে সুপরিচিত ও জনপ্রিয় করে এর পরিসর বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় শ্যামাপূজা ও দীপাবলি ২০২৪ উপলক্ষে গত ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরীর মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রাঙ্গণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সম্প্রীতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিরচিত শ্যামাসংগীত পরিবেশন করেন বাঁশরীর শিল্পীবৃন্দ। এ আয়োজনের পরিকল্পনায় ছিলেন বাঁশরী - একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র’র প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান।


বাঁশরীর শিল্পীগণ মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশনে “আমার হাতে কালি মুখে কালি, মা আমার কালিমাখা মুখ দেখে মা, পাড়ার লোকে হাসে খালি…..”, “কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন…..”, “শ্মশানে জাগিছে শ্যামা মা শ্মশানে জাগিছে শ্যামা অন্তিমে সন্তানে নিতে কোলে…..”, “শ্যামা নামের লাগল আগুন আমার দেহের ধূপকাঠিতে……”, “বল রে জবা বল। কোন সাধনায় পেলি শ্যামা মায়ের চরণতল……”, “জগত জুড়ে জাল ফেলেছিস শ্যামা কি জেলের মেয়ে……”, “কে পরালো মুন্ডুমালা আমার শ্যামা মায়ের গলে…….”, “আমার অহংকারেরে মূল কেটে দাও কাঠুরিয়ার মেয়ে…...”, “ওমা তোর ভুবনে জ্বলে এত আলো, আমি কেন অন্ধ মাগো দেখি শুধু কালো…..” প্রভৃতি শ্যামাসংগীতগুলো একে একে পরিবেশন করেন।


বাঁশরীর কর্তৃক আয়োজিত এ শ্যামাসংগীত পরিবেশনায় রামকৃষ্ণ মিশনের আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন বাঁশরীর শিল্পী সিদ্ধার্থ গোলদার, মিলন পোদ্দার, কুমার শ্যাম এবং পরেশ পাল। অন্যদিকে মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরের শ্যামা পূজার আয়োজনে শ্যামাসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সুদাম কুমার বিশ্বাস, উম্মে রুমা ট্রফি, রেহানা পারভীন হাসি, রাজিয়া সুলতানা মিশি, তাপসী রায়, সংগীতা পাল, নাওশীন অমি প্রমুখ।