নোটিশ: ০২ বৈশাখ ১৪৩২/১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার বিকাল ০৪:০০ টায় বাঁশরী- একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র, বন্ধুর বাড়ি, ১২৪/৩/এ, বসিলা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ এ  বাঁশরীর আয়োজনে "নববর্ষ উদযাপন" অনুষ্ঠিত হয়।  বিস্তারিত জানতে  এই লেখার ওপর ক্লিক করুন।


 

সাম্প্রতিক অনুষ্ঠানাদি

15 April 2025

বাঁশরীর আয়োজনে উদযাপিত হলো নববর্ষ ১৪৩২

বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিসত্তার আবহমান কাল ধরে চলে আসা এক ঐতিহ্য। কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গানেও বাংলা নববর্ষের কথা একাধিকবার এসেছে। বাঁশরী – একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র প্রতিবারের ন্যায় এবারও আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনে শামিল হয়েছে।

22 February 2025

ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে “জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম উৎসব” অনুষ্ঠিত

ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বাঁশরী – একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় “জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম উৎসব” শীর্ষক একটি উন্মুক্ত উৎসব।

21 February 2025

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে বাঁশরীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

৮ ফাল্গুন ১৪৩১ (২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫) তারিখে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস উপলক্ষে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার বলধারায় অবস্থিত রফিকনগর গ্রামে ভাষা শহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে বাঁশরী ভাষা সংগ্রামী ও শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে “অমর একুশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম –এর গান” শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এতে বাঁশরীর নিয়মিত শিল্পীগণ অংশগ্রহণ করেন।

বল বীর -

বল উন্নত মম শির!

শির নেহারি’ আমারি,

নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!

২৩শে এপ্রিল ২০২৫, বুধবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধে বাঁশরী - একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র'র শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের ৩৩৮৫তম দিনের দৃশ্য।

২৩শে এপ্রিল ২০২৫, বুধবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধে বাঁশরী - একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র'র শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের ৩৩৮৫তম দিনের দৃশ্য।

Nazrul Today

১২ই ভাদ্র ১৪৩০: এই দিনে কবি নজরুল

আজ ১২ই ভাদ্র ১৪৩০/২৭ আগস্ট ২০২৩, রবিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে তারিখে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কবির বাকি জীবন বাংলাদেশেই কাটে। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে নজরুলকে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদানের সরকারি আদেশ জারী করা হয়।

এরপর যথেষ্ট চিকিৎসা সত্ত্বেও নজরুলের স্বাস্থ্যের বিশেষ কোন উন্নতি হয়নি। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে কবির সবচেয়ে ছোট ছেলে এবং বিখ্যাত গিটারবাদক কাজী অনিরুদ্ধ মৃত্যুবরণ করে। ১৯৭৬ সালে নজরুলের স্বাস্থ্যেরও অবনতি হতে শুরু করে। জীবনের শেষ দিনগুলো কাটে ঢাকার পিজি হাসপাতালে। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নজরুল তার একটি গানে লিখেছেন, "মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিয়ো ভাই / যেন গোরের থেকে মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই":- কবির এই ইচ্ছার বিষয়টি বিবেচনা করে কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাধিস্থ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং সে অনুযায়ী তার সমাধি রচিত হয়। তবে প্রমিলা দেবীর শেষ ইচ্ছা ছিল তার স্বামীকে যেন তার কবরের পাশে (চুরুলিয়ায় নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে) সমাধিস্থ করা হয়। কিন্তু প্রমিলার শেষ ইচ্ছাটি আর পূরণ হয়ে উঠে নি।

তার জানাজার নামাজে ১০ হাজারেরও অধিক মানুষ অংশ নেয়। জানাজা নামায আদায়ের পরে রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, রিয়াল এডমিরাল এম এইচ খান, এয়ার ভাইস মার্শাল এ জি মাহমুদ, মেজর জেনারেল দস্তগীর জাতীয় পতাকা আচ্ছাদিত নজরুলের মরদেহ বহন করে সোহরাওয়ার্দী ময়দান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে নিয়ে যান। বাংলাদেশে তার মৃত্যু উপলক্ষে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালিত হয় এবং ভারতের আইনসভায় কবির সম্মানে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া।

Establishment/History of Bashori

The Founder

বাঁশরীর প্রতিষ্ঠা

বাঁশরী-একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র। এই একবিংশ শতাব্দীতেও বিশ্বজুড়ে মানুষে-মানুষে সংঘাত-হানাহানি চলছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ছিল স্বাধীনতা, গণমানুষের মুক্তি, অসাম্প্রদায়িক বিভেদহীন মানবতাবাদী উন্নত সমাজ গড়ার জন্য নিবেদিত। সংগীতে, কবিতায়, প্রবন্ধে, নাটকে, গল্পে, উপন্যাসে, সিনেমায়, সাংবাদিকতায়, রাজনীতিতে, আন্দোলনে- সর্বত্র তাঁর বহিঃপ্রকাশ। তিনি বাঙালিদের একটি মন্ত্র শেখানোর অনুরোধ করেছিলেন- "এই পবিত্র বাংলাদেশ বাঙ্গালীর- আমাদের" বর্তমান দেশ ও বিশ্ব প্রেক্ষাপটে নজরুল চর্চা অত্যন্ত জরুরী। সে ভাবনা থেকেই বাঁশরীর প্রতিষ্ঠা। বাঁশরীর প্রতিষ্ঠাতা ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. খালেকুজ্জামান। বাঁশরী চায় নজরুলের চিন্তা-চেতনা দেশ-বিদেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। ২০ কার্ত্তিক ১৪২১ বঙ্গাব্দ – ১০ মোহররম ১৪৩৬ হিজরি – ৪ নভেম্বর ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে বাঁশরীর যাত্রা শুরু হয়।

Establishment/History of Bashori

প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি The Founder

ড. ইঞ্জিনিয়ার মোঃ খালেকুজ্জামান

ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান শিক্ষাগত দিক দিয়ে একজন প্রকৌশলী, তবে মননে, চেতনায়, জীবনদর্শনে তিনি আপাদমস্তক নজরুলপ্রেমে উদ্ভাসিত ও নজরুল চর্চায় উৎসর্গীকৃত একজন ব্যক্তি। নজরুল ও তাঁর সাহিত্যকর্মের প্রতি এই অকৃত্রিম অনুরাগকে পূর্ণতা দিতে এবং বৃহত্তর পরিসরে কবি নজরুলের অমূল্য সাহিত্যসম্ভার জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের মন ও মননে পৌঁছে দিতে তিনি প্রয়াত দেবী সুচিত্রা হাজংসহ আরো কয়েকজন নজরুল-অনুরাগী মানুষদের নিয়ে বাঁশরী-একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন । প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নজরুলের সাহিত্যকর্ম প্রচার, প্রসারের নিমিত্তে প্রতিনিয়ত অভূতপূর্ব ও সৃষ্টিশীল নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি বাঁশরী-একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্রকে ক্রমান্বয়ে একটি নতুন উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করে চলেছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নজরুলকেন্দ্রিক অনবদ্য সব পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাঁশরীকে নজরুল চর্চার ভুবনে একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন খুব স্বল্প সময়ের ব্যবধানে, সেই সাথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন পরীক্ষিত, একনিষ্ঠ ও নিবেদিতপ্রাণ এক নজরুল-অনুরাগী হিসেবে।

Establishment/History of Bashori
Establishment/History of Bashori

সহ-প্রতিষ্ঠাতা The Founder

সুচিত্রা হাজং

বাঁশরী- একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা সুচিত্রা হাজং নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুড়া গ্রামের এক হাজং পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১০ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। পড়াশোনা করেছেন লেঙ্গুরা সরকারি প্রাইমারি স্কুল, লেঙ্গুড়া হাইস্কুল এবং দুর্গাপুর মহিলা কলেজে। ঢাকার বিইউবিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে তিনি বিএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাথেও (বিআইপিএফ) তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। সুচিত্রা হাজং-এর অনুপ্রেরণা ও সহায়তায় ২০০৮ সালে SZ Consultancy Services Ltd. ও ২০১৫ সালে বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু) প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর তাঁর অনুপ্রেরণা ও উৎসাহে ড. ইঞ্জিনিয়ার মোঃ খালেকুজ্জামান বাঁশরী-একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু) প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি বন্ধুচুলা প্রকল্প সফল করার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন।

আপনার কাঙ্ক্ষিত কোর্সটিতে নাম নিবন্ধন করতে নিচের ‘নিবন্ধন’ লেখা বাটনে ক্লিক করুন।